গঙ্গাবক্ষে নৌকাবিহার আর ভিন্ন খাবারের স্বাদ আস্বাদনের সঙ্গী- চন্দননগরের ‘জলশ্রী’

Tripoto
Photo of গঙ্গাবক্ষে নৌকাবিহার আর ভিন্ন খাবারের স্বাদ আস্বাদনের সঙ্গী- চন্দননগরের ‘জলশ্রী’ 1/2 by Deya Das
জলশ্রীর পরিবেশ (ছবি সংগৃহীত)

ঐতিহাসিক শহর চন্দননগর, যার প্রতিটি প্রান্তে রয়েছে ইতিহাসের ছোঁয়া। ইতিহাস প্রেমীদের কাছে চন্দননগরের গুরুত্ব বরাবরই অপরিসীম। কিন্তু এবার ভোজনরসিকদের কাছেও এই চন্দননগর সমানভাবে গুরুত্ব পেতে চলেছে। চন্দননগরের গঙ্গাবক্ষে উদ্বোধন করা হল ‘দ্যা রিভার হ্যাবিটেট’ বা ‘জলশ্রী’ নামে প্রথম ভাসমান দ্বিতল রেস্তোরাঁ।

শুভ উদ্বোধন:

পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮ই ফেব্রুয়ারি,২০২১ ভার্চুয়াল ভাবে এই রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেন।

তবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি,২০২১ অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন থেকে এই রেস্তোরাঁ সম্পূর্ণভাবে সবার জন্য তার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়।

প্রবেশের সময় :

প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ১০.৩০টা অবধি এই রেস্তোরাঁটি খোলা থাকে।

Photo of গঙ্গাবক্ষে নৌকাবিহার আর ভিন্ন খাবারের স্বাদ আস্বাদনের সঙ্গী- চন্দননগরের ‘জলশ্রী’ 2/2 by Deya Das
গঙ্গাবঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ

কীভাবে এই রেস্তোরাঁয় পৌঁছবেন:

জলশ্রী রেস্তোরাঁয় আসতে গেলে প্রথমে আপনাকে পৌঁছতে হবে চন্দননগর স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে টোটো বা অটো করে চন্দননগর স্ট্যান্ডের ধারে লঞ্চঘাট, যেটি রানীঘাট নামে পরিচিত সেখানে আসলেই আপনি এই জনপ্রিয় রেস্তোরাঁটির দর্শন পাবেন।

প্রবেশ মূল্য:

জলশ্রীতে প্রবেশের জন্য প্রথমে রানীঘাট থেকে আপনাকে ৫০ টাকার একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এই টিকিটের দামটি পরে আপনার খাবারের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হয়।

জলশ্রী-র কিছু কথা:

• চন্দননগরের গঙ্গাবক্ষে ভাসমান প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দোতলা রেস্তোরাঁ।

• এখানে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তির বসবার জায়গা রয়েছে।

• ভিতরে খাবার জায়গা পরিপূর্ণ হয়ে গেলে বাইরে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য বসে থাকবার জায়গা রয়েছে।

• শনিবার অথবা রবিবার বাদে সপ্তাহের যে কোনও দিন কোন পারিবারিক অনুষ্ঠান পালন করার জন্য এই রেস্তোরাঁটি বুক করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে সদস্য সংখ্যা ৩০ জনের মতো হতে হবে এবং প্রত্যেক সদস্যের জন্য খরচ হবে মাথাপিছু ১৫০০ টাকা। যার মধ্যে থাকবে কিছু মুখরোচক খাবার এবং তার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বাহারি আয়োজন।

• জলশ্রী রেস্তোরাঁয় যেমন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো যাবে, ঠিক সেইভাবে এর উপর তলায় অর্থাৎ দোতলায় আপনি আপনার সঙ্গীকে নিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন।

• রেস্তোরাঁয় সমস্ত বসবার জায়গা পরিপূর্ণ হয়ে গেলে এটি গঙ্গাবক্ষে চলতে শুরু করবে। সুন্দর সুন্দর খাবারের স্বাদ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ দর্শনের মাধ্যমে আপনার মন হয়ে উঠবে একদম চনমনে।

খাবারের তালিকা:

জলশ্রীতে চাইনিজ, ইন্ডিয়ান সব রকমের খাবার পাওয়া যায়। দামও বেশ সাধ্যের মধ্যেই।

• প্যান ফ্রাইড সেজোয়ান চিকেন মোমো - ৫০ টাকা ( ৫ পিস )।

• ফ্রুটস এন্ড নাটস ফ্রাইড চকলেট মম উইথ কোল্ড। চকলেট - ৫০ টাকা ( ৫ পিস )।

• ফ্রেশ ফ্রুটস স্যালাড - ১৪৫ টাকা।

• কার্বনারা - ২৪০ টাকা।

• বাটার গার্লিক প্রন - ৫১৫ টাকা।

• ওল্ড ফ্যাশনেড ফিশ এন্ড চিপস - ৩২০ টাকা।

তাহলে নৌকাবিহার এবং একটু ভিন্ন ধরণের খাবারের স্বাদ গ্রহণের জন্য ঘুরে আসুন জলশ্রীতে। আর চাইলে এর সঙ্গে চন্দননগরের আশেপাশের কিছু জায়গাও আপনি ঘুরে দেখতে পারেন।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।