
পৃথিবীতে দেখার জিনিসের কোনও শেষ নেই আর সেটা যদি ঘোরার জাইগা হয় তাহলে তো কথাই নেই। আজ এই রকম একটি জাইগার কথা আপনাদের বলবো এক ঝলক দেখলে 'জুলুক' বলে ভুল হতেই পারে এবং সেটা স্বাভাবিক ও! সেই একই রাস্তার দুধারে সবুজে মোরা প্রশস্ত পথ, একই এঁকেবেঁকে এক মনে চলা রাস্তা , যাকে আমরা 'জিগজ্যাগ রোড' বলে জানি- সেই সমস্ত হুবহু এক! সব এক হলেও আজ যে জায়গাটার নাম আপনারা জানবেন তা শুনলে বিষম খেতেই পারেন! কারন জায়গাটি নর্থ বেঙ্গল তো দূরে থাক তার আশেপাশেও না। আজকের গন্তব্য হল 'পাত্রাতুভ্যালি'।
পাত্রাতুভ্যালি ঝাড়খন্ড জেলায় অবস্থিত বর্তমান সময়ে ভীষন জনপ্রিয় একটি টুরিস্ট স্পট! রাতু থেকে পাত্রাতু যাওয়ার রাস্তায় পিথুরিয়া পার করলেই চোখের সামনে খুলে যাবে একের পর একর চমক! পুরো রাস্তা জুড়ে রয়েছে রূপকথার মত সাজানো জায়গা দৃশ্য! এতটাই মন মহোক যে সেই পথ আপনাকে টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য করবেই সামনের দিকে! যত এগোবেন মনে হবে জুলুক কিংবা খান্ডালা-লোনাওয়ালা- পুনে রোড ধরে এগিয়ে চলেছেন আপনি। মনেই হবেনা যে এইখান থেকে রাচি মাত্র 35 কিমি দূরেই! রোমাঞ্চকর অনুভূতি পেতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন পাত্রাতু ভ্যালি! উপর থেকে ছবিতে দেখলে মনে হবে জটের মতন পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে রাস্তা চলেগেছে সামনের দিকে আর সেই রাস্তার শেষে গেলে এক অদ্ভুত সুন্দর ভিউএর সাক্ষী থাকবেন তা নিশ্চিত!
এইখানে গেলে 'পাত্রাতু লেক রিসোর্ট' ঘুরে আসতে পারেন। মাত্র 20 টাকার বিনিময়ে টিকিট মিলবে। ভেতরে রয়েছে পাতরাতু লেক। নৌকা বিহারে যেতে মন্দ লাগবেনা। চিলকা লেক যারা গেছেন তারা হয়তো ভাবতে পারবেন 'আবার লেক! গলা কাটবে' ! একদম না বিশ্বাস করুন! খুব সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে আরো বেশি সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।পাহাড় বেষ্টিত এখানে লেক। শীত কালে না না পরিযায়ী পাখি এসে জানান দেয় শীত এসেছে! পিকনিক স্পট হিসাবে এই জায়গাটি খুব নজর কেড়েছে। তাছাড়া না না ধরনের স্পোর্ট এক্টিভিটির সুযোগ রয়েছে। ছোট থেকে বড় সবার জন্যই কিছুনা কিছু আছে। তাছাড়া পাতরাতু ড্যাম আছে। দেখে নিতে পারেন।
কখন যাবেন?
নভেম্বর থেকে মার্চ মাস ভীষণ উপযুক্ত সময় এইখানে যাওয়ার। তবে বর্ষা কালে গেলেও একদম আলাদা রকমের এবং অদ্ভুত সৌন্দর্যের সাক্ষী থাকবেন তা না বললেই নয়। কারন একদিকে মেঘলা অবহাওয়া আর বৃষ্টির জলে বেড়ে ওঠা সবুজ গাছপালার দাপট আপনার মন কাড়বেই!





















