#savetourism

Tripoto

#savetourism

Photo of #savetourism by যাযাবর দেব -Debjyoti Bandyopadhyay

#savetourism

জানিনা পোস্টটা অ্যাডমিন অ্যাপ্রুভ করবেন কিনা।

এটি একটি বেড়ানো সংক্রান্ত গ্রুপ।অথচ কেউ বেড়ানো সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য কোনো পোস্ট করলেই ,কিছু ব্যক্তি রে রে করে তেড়ে আসছেন।"এখন দুবছর বেড়াতে যাবেন না ","আপনারা ওসব জায়গায় গিয়ে বাকিদের বিপদে ফেলবেন"ইত্যাদি ইত্যাদি এমন নানা উক্তি। বেড়াতে যেতে লোভ করছে কিন্তু যেতে পারছেন না নাকি যেতে চাইছেন না? কোনটা আসল কারন আগে সেটা খুঁজে বের করতে হবে হ্যাঁ আপনাকেই করতে হবে।

যদি আপনি আপনার বেড়ানোর ইছা আর্থিক সংকটের জন্য বন্ধ রেখেছেন তাহলে বলবো একদম ঠিক করেছেন আগে অপরিহার্যতা পরে বিলাসিতা। আচ্ছা একবার ভাবুন তো,আমরা যেসব জায়গায় বেড়াতে যাই সেখানে ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এজেন্ট ছাড়াও অঞ্চলটির হোটেলের নানা কাজে যুক্ত মানুষ,গাড়ির ড্রাইভার,নানাধরনের দোকানপাট, রেস্তরাঁ,ফেরিওয়ালা বাদামওয়ালা যার থেকে আপনি সমুদ্রের পাড়ে বসে বাদাম কিনে খান, সেই ঝিনুকের পুতুল বিক্রি করা ফেরিওয়ালাটি বা শীতের পসার নিয়ে বসা নেপালি মেয়েটি সকলের কি ভাবে এই 107 দিনের ওপর চলছে। বিনা রোজগারে।ভাবতে পারছেন কি? তার ওপর আম্ফানের তাণ্ডব গেলো। জানিনা সেই মানুষগুলো কিভাবে বেঁচে রয়েছেন। অনেক জায়গায় উপযুক্ত স্যানিটাইজেশন করে,স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে কর্মীরা সাবধানতা অবলম্বন করে হোটেলগুলো খুলতে শুরু করেছে।সেখানকার স্থানীয় মানুষরাও চাইছেন যে পর্যটক আসুক।অবশ্যই প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করেই। যদি বলেন কি করে যাব, যাতায়াত সুব্যবস্থা নেই সেই ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো :- আপনার যদি উত্তর বঙ্গ যেতে চান তাহলে পৌঁছনোর জন্য সরকার NBCTC বাস, একটা স্পেশাল ট্রেন (পদাতিক এক্সপ্রেস), প্লেন খুলেদিয়েছে চেষ্টা করলেই যেতে পারবেন, আর যদি দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর যেতে চান তাহলে তো নিজের গাড়ি বা ভাড়ার যে কোনো একটাই চলে যেতেই পারবেন।

এবার আপনি বলবেন মহামারীর ভয় তাহলে বলি একটু মন দিয়ে শুনুন :-- নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আপনারা মহামারীর ভয় কে সাথে নিয়ে বাজার, অফিস, লোকাল বাস সবই করবেন বা করছেন কোনো সাবধান দূরত্ব বজায় না রেখেই, এটা আপনার কাছে যদি বাধ্যতা মূলক হয় তাহলে চিন্তা করুন আপনার প্রিয় ভ্রমনের জাইগার মানুষ গুলো আপনার পথ চেয়ে বসে আছেন। যারা সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করে আপনার আসায় হোমস্টে বা হোটেল খুলছে, সেই গাড়ির চালক টার কথা চিন্তাকরুন যে চিন্তা করছে আপনারা গেলে সে আবার সামনের মাস থেকে তার গাড়ির EMI টা দিতে পারবে, আর যদি বলেন লোকাল মানুষে যদি ঝামেলা করে তার ভয়,, না সেসব এখন অনেক টাই অতিত কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছিল যেটা আপনারা শুনেছিলেন দার্জিলিং ও দিঘার ঘটনা সেটা এখন অতীত, ঐ ঘটনা গুলই তখন খবরের TRP বারাতে সাহায্য করে ছিল…নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে আর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।সাবধানে না থাকলে তো বাড়ি বসেও 'কোরোনা' হতে পরে।হচ্ছেও তাই। আজ আপনি খবর নিন দিঘা,মন্দারমনি, তাজপুর, পাহাড়ে সিটঙ, কালিমপঙ, দার্জিলিং, ডুয়ার্স কোন জায়গায় খোলা নেই,,, সবাই খুলছে আস্তে আস্তে সমস্ত রকম বিধি নিষেধ এর কথা মাথা তে রেখে। হাঁ হয়তো সব ঘর কেউ কেউ ভারা নাও দিতে পারেন রেখে।দূরত্ব বিধির কথা মাথা তে রেখে।

আপনার আমার দুনিয়া এখন হাতের মুঠোর মধ্যে চাইলেই সঠিক খবর এক ফোন কলে পেয়ে যেতে পারেন কেন আপনি অন্য মানুষের ভরসায় থাকবেন কেন আপনি সংবাদ মাধ্যমের মিথ্যে রং চড়ানো খবরে নজর রাখবেন, আপনি গেলেই সেখানকার মানুষ মহামারী আক্রান্ত হবে কে বলল আপনাকে, আপনি যে অঞ্চলে ঘুরতে যাবেন আপনিকি সেই অঞ্চলের মানুষকে জড়িয়ে ধরবেন নাকি কাঁধে হাত রেখে ঘুরে বেড়াবেন,, এর কোনো টাই আপনি করবেন না,, আপনার থেকে সেই সব অঞ্চলের মানুষ অনেক সজাগ ও সাবধানতা অবলম্বন করে আপনাকে রাখবে,, সুতরাং আপনার আর্থিক সংকট ছাড়া ঘুরতে না যাওয়ার কোনো কারণ স্থায়ী হতে পারে না,,, প্রয়োজনে আপনার প্রিয় TRAVEL AGENT বা আপনারা নিজে নিজে যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তারাও বেরিয়ে পরুন হাঁ অতি অবশ্যই সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে. এটা সম্পূর্ণ আমার অভিমত সবার সাথে নাও মিলতে পারে………..

কলমে দেব