পরিবারের ক্রমাগত শাসনে মনের দুঃখে বাড়ি ছেড়ে গোয়ায় পার্টি করতে চলে গেল বছর ১৪-র ছেলেটি...

Tripoto
Photo of পরিবারের ক্রমাগত শাসনে মনের দুঃখে বাড়ি ছেড়ে গোয়ায় পার্টি করতে চলে গেল বছর ১৪-র ছেলেটি... 1/1 by Never ending footsteps
টিনএজারদের মধ্যে পার্টি করার প্রবণতা (ছবি সংগৃহীত)

নিউ-নর্ম্যাল এই জীবনে যখন আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি নিজেদেরকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, ঠিক সেই মুহূর্তেই নানা রকম মানসিক সমস্যা এবং একাকিত্ববোধ আমাদেরকে ঘিরে ধরছে। এই ধরনের প্রবণতা আবার ছোটদের মধ্যে আর একটু বেশিই দেখা দিচ্ছে... একাকিত্বের কারণগুলোও রয়েছে, প্রথমত একটা দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে বন্ধুদের মধ্যে মেলামেশার সুযোগ অনেকটাই কমে গেছে। দ্বিতীয়ত, বাড়িতেও একধরনের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রনির্ভরতার মাঝে বড় হয়ে ওঠার দরুণ সামাজিকভাবে কোনটি উচিত আর কোনটি নয় সেই বোধটুকু ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে বাচ্চাদের মধ্যে থেকে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ এই ধরনের প্রসঙ্গ উল্লেখের কারণ কী? কারণটা হল সাম্প্রতিক একটি ঘটনায়। গুজরাতের ভদোদরায় ক্লাস টেনের এক ছাত্রের দুঃসাহসিক এক কাজের জেরে। কী করেছে সে? সহজ কথায় বলতে গেলে বাড়ি থেকে ১.৫ লাখ টাকা নিয়ে সে গুজরাত থেকে পাড়ি দিয়েছে 'পার্টি' করতে গোয়াতে।

দুঃসাহসিকতার পিছনের কারণটাও কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক নয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্র থেকে জানা গিয়েছে বাড়িতে বাবা-মা-এর কাছে কোনও একটা কারণে বকা খাওয়ার জন্য ছেলেটি এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

সত্যিই যুগের সঙ্গে কত বদলে যাচ্ছে আমাদের চারপাশের চেহারা, আগে যেখানে বাবা-মা-এর বকা খেলে ছেলেমেয়েরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সাহসটুকু পেত না, সেখানেই আজকের ছেলেমেয়েরা রীতি মতো দুঃসাহসিক কাজ কর্ম করে ফেলছে।

প্রশ্ন আসতে পারে বছর চোদ্দর একটি ছেলে কীভাবে গুজরাত থেকে গোয়া পৌঁছল? প্রথমে অবশ্য ছেলেটি চেষ্টা করেছিল ভদোদরা থেকে ট্রেন ধরে গোয়া পৌঁছতে কিন্তু সেই সুযোগ ছিল না কারণ আধার কার্ড তার কাছে ছিল না, তাই পুণেগামী বাস ধরেই পুণে পৌঁছে যায় সে আর সেখান থেকে বাস ধরে গোয়া। শুধুমাত্র তাই নয়, বাবা-মা-কে উচিত শিক্ষা দিতে নতুন সিম কার্ড কিনে মোবাইলে ভরে, ফোনের নম্বরও বদলে ফেলে সে। এই যাতায়াতের সময়ে বিভিন্ন ক্লাবে গিয়ে যাবতীয় আনন্দও করেছে সে। বয়স নিতান্তই সামান্য কিন্তু তাতে কী? বড়দের দেখে কিংবা মোবাইল ফোন দেখে এবং টেকনোলজির সাহায্যে যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখে ফেলেছে সে।

কিন্তু স্বাধীনতার এই ইচ্ছা বেশিদিন টেকেনি, শেষপর্যন্ত ভদোদরা এবং পুণে পুলিশের সাহায্যে ছেলেটি ঠিক মতো বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে।

বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে শাসন করবেন এটাই তো স্বাভাবিক কিন্তু তার পরিণাম যদি এরকম হয় তাহলে উপায় কী? স্বাভাবিকভাবে কপাল ভাঁজ পড়ছে নেটিজনদের।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যাবহার করুন