প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে এক পায়েই সুন্দরবন সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় 'কোকোনাট ম্যান'...

Tripoto
Photo of প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে এক পায়েই সুন্দরবন সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় 'কোকোনাট ম্যান'... 1/1 by Deya Das
মনের জোড়ে প্রকৃতিকে বাঁচানোর এক দায়িত্ব (ছবি সংগৃহীত)

গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গতকালই ছিল বন্ধুত্ব দিবস, সেই বন্ধুকে সবসময় ভাল রাখার বার্তা দিয়ে গেলেন ক্যানিং মহকুমার ঝড়খালির ২ নম্বর লস্করপুরের বাসিন্দা সুকুমার সানা।

সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে সুন্দরবন। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। তার মধ্যেও এই সুন্দরবনকে আপাতদৃষ্টিতে সবুজ সতেজ করে তোলার জন্য বিদ্যাধরী নদীর দু'পাশে ম্যানগ্রোভের গাছের সঙ্গে নারকেল, তালগাছের চারা রোপণ করছেন সুকুমার।

২০০০ সালে চাষের কাজ করতে গিয়ে হ্যান্ড ট্রাক্টর উল্টে পায়ের উপর পড়ার পর সুকুমারের বাঁ পায়ে পচন ধরে এবং সেটি বাদ যায়। প্রাণে বেঁচে গেলেও ক্রাচকে সঙ্গী করে বাজ পড়ার হাত থেকে সুন্দরবনকে রক্ষায় এবং নদীর ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য বৃক্ষ রোপন করে সুকুমার হয়ে উঠেছেন সবার কাছে ‘কোকোনাট ম্যান’।

ঝড়খালিতে স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে সুকুমারের ছোট্ট অভাবের সংসার। ২০০৫ সাল থেকে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে নারকেল এবং তালের আঁটি নিয়ে এসে সেগুলি জমিতে ফেলে চারা বেরোলে বিদ্যাধরী নদীর পাড়ে পুঁতে দেওয়াই ছিল তার কাজ। এই কাজের জন্য তিনি একটি ছোট নার্সারিও তৈরি করেছেন। তবে এই কাজে সুকুমার তার স্ত্রী এবং গ্রামের প্রায় ১০০ জন মহিলাকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘সবুজ বাহিনী’ নামে একটি দল।

বৈজ্ঞানিকদের কাছ থেকে সুকুমার শুনেছিলেন যে নারকেলগাছ আর তালগাছ বজ্রপাত আটকায় এবং নদীর বাঁধের ভূমিক্ষয় রোধ করে; সেই কথা মাথায় রেখেই এক পায়ে ক্রাচে ভর দিয়ে প্রতিনিয়ত এই কাজে নিজেকে তিনি নিযুক্ত করে চলেছেন।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।

(Tripoto বাংলা এখন Telegram-এও ফলো করুন এই লিঙ্কে https://t.me/tripotobangla)