এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন...

Tripoto
Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 1/14 by Deya Das

জীবনের রোজনামচা থেকে অবসর পেতে কে না চায়! কিন্তু সব সময় হয়তো সেই সুযোগ হয়ে ওঠে না। আর সুযোগ হলেও সমস্ত কাজ সামলে নিজের জন্য আলাদা করে সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। তবুও মনে হয় কখনও যদি নিজের জন্য একটু বাঁচার অন্যরকম পন্থা খুঁজে নেওয়া যায়; তা হলে মন্দ হয় না। সাংসারিক কাজ বা অফিসের কাজ থেকে একদিনের জন্য হলেও বিশ্রাম নিতে সবাই উন্মুখ হয়ে থাকে। এই সমস্ত মানুষদের কথা মাথায় রেখেই তাদের জীবনের ছোট্ট একটু বিশ্রামের খোঁজ দিতে আজ আমরা চলে এসেছি টাকীর বিশ্রাম বাগান বাড়িতে, যেখানে এসে অনায়াসে আপনি নিজের মন ভালো করার জন্য কিছুটা সময় কাটিয়ে যেতে পারেন।

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 2/14 by Deya Das

প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো জমিদার প্রধান গ্রাম হল সৈদপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণের নদী ইচ্ছামতী। ঠিক ইচ্ছামতী নদীর কাছেই এই বিশ্রাম বাগান বাড়িটি অবস্থিত। বিশ্রাম শব্দটি আমাদের মনের অদ্ভুত এক খুশির আমেজ তৈরি করে। এখানে এসে কিন্তু সেই খুশি আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই বাগান বাড়ির প্রবেশ পথটিও বেশ প্রশস্ত। বড় লাল রংয়ের সিংহ দুয়ার সামনে কালো গেট দিয়ে সোজা বাগান বাড়িতে প্রবেশ।

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 3/14 by Deya Das

ঢুকেই দেখতে পাবেন বেশ অনেকগুলি সাজানো বাড়ি। ঘরগুলিতে অত্যাধুনিক আসবাবপত্র, উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ও খোলামেলা উন্মুক্ত পরিবেশ খুঁজে পাবেন। বাড়ির বারান্দাটি নানান মনীষী এবং ধনী ব্যক্তিবর্গদের ছবি দিয়ে সুসজ্জিত। এছাড়াও বসবার ঘর আলোকসজ্জায় পরিপূর্ণ। ঘরের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি বিশাল আকৃতির ঝাড়বাতি।

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 4/14 by Deya Das

এখানে চব্বিশ ঘণ্টা জল এবং আলোর সুবন্দোবস্ত রয়েছে। সঙ্গে সকাল, দুপুর এবং রাতের জন্য একদম বাঙালিয়ানা খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়। নামই যখন বাগানবাড়ি তাহলে বাগান আর পুকুর থাকবে না এমন হতে পারে না। বাড়িটির চারপাশে খুব সুন্দর পরিষ্কার সুসজ্জিত বাগান রয়েছে; যেখানে বিভিন্ন রকমের খেলার সরঞ্জাম, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং পাখি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও বাড়ির এক পাশে রয়েছে একটি পুকুর, যার পাড়ে বসেই আপনি কিছুটা সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। বাগান বাড়ির পাশ দিয়ে যেহেতু ইচ্ছামতী নদী বয়ে চলেছে তাই আপনি চাইলে এখান থেকে অনায়াসে নদী ভ্রমণে যেতে পারেন।

বাগান বাড়ির ভিতরে দর্শনীয় বিষয়বস্তু-

আর্ট গ্যালারি

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 5/14 by Deya Das

• পুকুর

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 6/14 by Deya Das

বাগান

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 7/14 by Deya Das

• পাখিরালয়

• মন্দির

• বৈঠকখানা

• কটেজ

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 8/14 by Deya Das

অবস্থান-

ইছামতি নদীর কাছে বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে টাকী, সৈদপুর গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা।

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 9/14 by Deya Das

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান-

• কিছু ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ি

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 10/14 by Deya Das

• পুরনো কালীবাড়ি

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 11/14 by Deya Das

• রামকৃষ্ণ মিশন

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 12/14 by Deya Das

• গোলপাতার বাগান

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 13/14 by Deya Das

• ইচ্ছামতী নদী

Photo of এই বিশ্রাম বাড়িতে আপনি ছুটি কাটাতে পারেন! স্বচ্ছন্দে সময় কাটাতে পারেন... 14/14 by Deya Das

কীভাবে পৌঁছাবেন-

কলকাতা থেকে ট্রেনে বা গাড়িতে প্রায় দুই ঘণ্টার পথ। শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ লোকাল ট্রেন করে টাকী স্টেশনে পৌঁছানোর যায়। তারপর টাকী স্টেশন থেকে কোন রিক্সা বা ভ্যান করে সৈদপুর বিশ্রাম বাগান বাড়িতে পৌঁছনো যায়।

বিশদ জানতে যোগাযোগ করতে পারেন-

www.bisrambaganbari.com

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।