
আপনি কি পাহাড় ভালোবাসেন সঙ্গে জঙ্গল ও কি বললেন সঙ্গে সমুদ্র থাকলে ভালো হতো ? তাহলে আপনি একদম ঠিক পোস্ট দেখছেন হা এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ আপনার জন্য এবং আপনার মতো আরও যারা ভালো বাসেন তাদের সবার জন্য আমার মানে দেবের সাথে ভ্রমণ এর একটি লেখা।
পঞ্চলিঙ্গেশ্বর ওড়িশার বালাসোর জেলার পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত একটি মজাদার গ্রাম। প্রকৃতির প্রশান্তি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পঞ্চলিনেশ্বরকে একটি আদর্শ সাপ্তাহিক ছুটির ঠিকানা। পাহাড়, ঝর্ণা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক বিপুল ভান্ডার পঞ্চলিঙ্গেশ্বর।রয়েছে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থাও.
বালাসোর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে জাগ্রত শৈবতীর্থ পঞ্চলিঙ্গেশ্বর।গহীন বন, গহন অরণ্য; ঘন বনানীর ঠাশ বুনট। এই স্থানটির প্রধান আকর্ষণ হ'ল পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির যা নীলাগিরি পাহাড়ের নিকটে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। পাহাড়ের নীল আর আকাশের নীল মিলেমিশে ভুবনটাই নীলাভ পঞ্চলিঙ্গেশ্বর. মন্দিরে পৌঁছতে আপনাকে 263 সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে যেখানে একটি ছোট জলের প্রবাহে নিমজ্জিত পাঁচটি শিবলিঙ্গ রয়েছে।ভয় নেই. ফাঁকে ফাঁকে জিরিয়ে নেওয়ার জায়গা পাবেন. প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ হয়ে যখন আপনি গন্তব্যে পৌঁছাবে তখন আপনার প্রধান আকর্ষণ পাথরে ঝর্ণার নীচে অদৃশ্য অথচ হাত দিয়ে অনুভব করা যায় এমন পাঁচটি ছোট ছোট শিবলিঙ্গ. কথিত আছে বনবাসকালে রাম জায়া সীতা স্বয়ং এই পঞ্চ লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন.কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া শাল শিরিষ ইত্যাদি বৃক্ষ পঞ্চলিঙ্গেশ্বর একটি গহন অরণ্য. আছে হাজার রকমের পাখি মাঝে মাঝে বুনো শুয়োর ও হাতি.
আরে কি দেখছেন এখানে সমুদ্র কই? আরে আছে এই বার।সময় পেলে ঘুরে আসুন কেয়া- কাজু আর ঝাঊ এ ছাওয়া কোষ্টাল হ্যামলেট চাঁদিপুর সাগর বেলা। ছোট্ট অবকাশ যাপনে মনোরম।চাঁদিপুর এর বালুকাবেলা পর্যটক দের বিমোহিত করে। তবে সফেদ ফেনার অভাব চাঁদিপুর এর সাগর পাড়ে।
কীভাবে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর পৌঁছাবেন :- হাওড়া থেকে বালাসোর. বালাসোর থেকে অটো বা গাড়ি ধরে চলে আসুন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর. কলকাতা থেকে সুজাসুজি ৫ ঘণ্টার ড্রাইভ এ চলে আসুন পঞ্চলিঙ্গেশ্বর. (২৮০ কিমি).
রাত্রিবাসের জন্য পঞ্চলিঙ্গেশ্বরে এবং ট্যুর সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগ
নোটঃ তথ্য ও ফটো দেবজ্যোতি ................কলমে দেব.







