ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জীবনে এক-একটি গন্তব্যের অভি়জ্ঞতা যেন এক-একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন করে থাকে। প্রতিটি গন্তব্যের মূলেই থাকে একটি সুপরিকল্পিত ভ্রমণপথের মানচিত্র। আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থায় আজকে আমরা বেশ সহজেই যে কোনও দূরত্বকেই নিজেদের মোটামুটি আয়ত্বের মধ্যে আনতে পেরেছি। সড়কপথের পাশাপাশি রেল এবং বিমান উভয়ক্ষেত্রেই আমাদের পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত বলা যায়। তবে সুনির্দিষ্ট গন্তব্যপথে পৌঁছনোর জন্য, কোনও একজন ব্যক্তি ঠিক কোন মাধ্যমটিকে বেছে নেবেন তা অবশ্যই সেই ব্যক্তিনির্ভর। রেলপথ এবং বিমানপথের মতোই সড়কপথ বা রোডট্রিপের রয়েছে একটা আলাদা আনন্দ। আপনাদের মধ্যে এখনও যারা এই অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পারেননি, তারা অবশ্যই রোড ট্রিপের পরিকল্পনা করে ফেলুন এবং রোড ট্রিপের মধ্যে দিয়ে অর্থাৎ পথের সঙ্গে পারস্পরিক কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে চলতে থাকুক আপনার ভ্রমণের সমগ্র অভিজ্ঞতা। এই প্রসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে, আমেরিকান রেডিওর স্পিকার এবং লেখক আর্ল নাইটিংগেলের কথা, তাঁর মতে "All you need is the plan, the road map and the courage to press on to your destination"... কথাটির সারসত্য হল কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে আমাদের প্রত্যেকেই একটা সামগ্রিক পরিকল্পনা করাটা উচিত।
আপনার প্রথম রোড ট্রিপের পরিকল্পনা ঠিক কেমন হওয়া উচিত, তা জন্য রইল কিছু প্রাথমিক গাইড
গন্তব্যের পৌঁছনোর সঠিক প্ল্যানিং
প্রথম এবং সর্বাগ্রে, যে কোনও রোড ভ্রমণের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হ'ল সঠিক গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য একটি সুপরিকল্পিত প্ল্যানিং এবং তার মানচিত্র মনের মধ্যে তৈরি করা ফেলা। যেহেতু এটি আপনার প্রথমবার, তাই পুরোপুরি অফবিট কোনও জায়গা বাছাই না করাটা ভাল। পরিবর্তে, সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য এবং উপযুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পন্ন স্থানগুলি পরিভ্রমণ করুন। সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ব্লগ পড়ে ফেলার চেষ্টা করুন, অন্যান্য ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা পড়ুন। তাঁরা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেগুলোকে বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে গন্তব্যস্থানটিকে এড়িয়েও যেতে পারেন আপনি। আর যদি একান্তই দেখেন গন্তব্যটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা অধিকাংশই নেতিবাচক, তবে মনে রাখবেন, আপনার এবং আপনার সঙ্গীদের সুরক্ষার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নয় এক্ষেত্রে! কাজেই নির্দিষ্ট ওই জায়গাগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভাল।
সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন
দ্বিতীয় যে বিষয়টি এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ তা হল, সঠিক লোকের সঙ্গে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা। যাঁদের আপনি ভাল করে জানেন, চেনেন এবং যাঁদের সঙ্গে ভ্রমণ করতে আপনি বিশেষভাবে স্বচ্ছন্দ, তাঁদেরকেই সঙ্গে নিন। মনে রাখবেন রোডট্রিপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই হল একে অন্যের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। দায়িত্বের প্রসঙ্গে বলতে হবে, এমন কো-ড্রাইভার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কেবলমাত্র সতর্কই নয়, একইসঙ্গে ভরসাযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য। ড্রাইভিং-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই রোটেশন ব্যবহার করুন, এরফলে প্রত্যেকেই সমানভাবে যাত্রাপথ উপভোগ করতে পারবেন।
সুনির্দিষ্ট গন্তব্যপথের নির্বাচন
তৃতীয় যে বিষয়টি এক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ তা হল ট্রিপের জন্য সুনির্দিষ্ট গন্তব্যের নির্বাচন। প্রথম রোড ট্রিপের ক্ষেত্রে ২০০-২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি যা যাওয়াটাই উচিত হবে। কারণ এক্ষেত্রে আপনাদের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। আপনার ট্রিপটি এমনভাবে বানানোর চেষ্টা করুন যাতে আপনার প্রতিটি গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে আপনার হাতে কমপক্ষে দুটি রাত থাকে। এতে আপনি পরের গন্তব্যের জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুতও হতে পারবেন। সময়ের ক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা থাকে তবে কোনও একটি গন্তব্যকে কম গুরুত্ব দিয়ে অন্যগুলো ঘুরে দেখার ক্ষেত্রে বেশি সময় দিতে পারেন।
গাড়ি নির্বাচন
রোড ট্রিপের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তই হল উপযুক্ত গাড়ি নির্বাচন করা। আপনি যখন শহরের মধ্যেই গাড়ি চালাচ্ছেন তখন ছোট গাড়িতেই আপনার কাজ হয়ে যেতে পারে, হাইওয়ে ড্রাইভিং-এর জন্য অন্যান্য আরও অনেকগুলো বিষয়ের প্রয়োজন পড়ে। যদি আপনার নিজস্ব হাই এন্ড হ্যাচব্যাক, এসইউভি বা এমইউভি গাড়ি না থাকে তবে সেল্ফ-ড্রাইভ পরিষেবা থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করতেই পারেন।
গাড়ির চাকা সবসময় প্রস্তুত রাখুন
রোড ট্রিপের আরও একটি সমস্যা হল ট্রিপের মাঝপথে আপনার গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে, তার জন্য আগে-ভাগে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার গাড়িটির উপযুক্ত সার্ভিসিং করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন, টায়ার ঠিক রাখার পাশাপাশি অতিরিক্ত টায়ার গাড়িতে রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা এক্ষেত্রে প্রয়োজন। টায়ার চেঞ্জ করার দরকার হলে চেঞ্জিং কিটের প্রতিটি যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে আপনি সচেতন কিনা সেই বিষয়টিও দেখে নেওয়া দরকার।
নথিপত্রের সঠিক অবস্থান
রোড ট্রিপের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র নয়। রাস্তায় বেরানোর ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো আপনার দেখে রাখা বিশেষভাবে প্রয়োজন। তা হল আপনার এবং গাড়ির প্রয়োজনীয় নথিপত্র ঠিক আছে কিনা। প্রয়োজনে প্রতিলিপি বা জেরক্স কপিও আপনি গাড়িতে রাখতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু একটি ফোল্ডারে রাখার চেষ্টা করুন। যদি আপনি ভারতে গাড়ি চালাচ্ছেন তবে আপনার সঙ্গে আপনার চালকের লাইসেন্স, নিবন্ধকরণ শংসাপত্র (আরসি), গাড়ি বীমা কাগজপত্র, পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল (পিইউসি) শংসাপত্র এবং কোনও অতিরিক্ত অনুমতিপত্র আপনার সাথে থাকা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
পেট্রোল পাম্পের হদিশ
ভারতের হাইওয়েতে যে পেট্রোল পাম্পগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে রয়েছে নানা জনের নানা অভিজ্ঞতা। সুতরাং, যাত্রাপথের শুরুতেই দেখে নেওয়া ভাল যে গাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি রয়েছে কিনা। কিছুটা পথ পেরিয়ে আসার পরেই যদি দেখেন হাইওয়েতে কোনও পেট্রোল পাম্প খোলা রয়েছে তবে জ্বালানি ভরে নেওয়া ভাল। কখন জ্বালানি ফুরিয়ে আসবে এবং পরের স্টেশনে গিয়ে ভরে নেবেন এমন সিদ্ধান্ত না করাটাই উচিত হবে সেক্ষেত্রে।
হোটেল বা হোমস্টে-তে বুকিং
রোডট্রিপ শুরু হওয়ার আগে যেমন আপনার পূর্বপরিকল্পিত একটা মানচিত্র মনের মধ্যে থাকবে, ঠিক তেমনভাবেই দেখবেন চলতে চলতে আরও অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনি সচেতন হয়ে উঠতে পেরেছেন, প্রয়োজনে একটি গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই কোথাও থাকবেন, সেখানে আদৌ থাকবার মতো সুব্যবস্থা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে মোটামুটি একটা ছক মনের মধ্যে কষে নিতে পারেন। এইভাবেই আপনি আপনার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
ব্যাগে এবং গাড়িতে রাখুন প্রয়োজনীয় জিনিস
ছোট মনে হতে পারে এমন সমস্ত জিনিসগুলো একটি পৃথক ব্যাগ রাখুন যা রাস্তায় যাওয়ার সময় খুব দরকারি। সুরক্ষা হিসাবে, প্রথমেই নিশ্চিত করুন যে আপনার গাড়িতে একটি ফাস্ট এইড কিট, কিছু প্রাথমিক ওষুধ এবং ফ্ল্যাশলাইট রয়েছে কিনা। টোল ট্যাক্সের জন্য সর্বদা পর্যাপ্ত নগদ রাখুন। টোল ট্যাক্সের রিসিপ্টগুলো ঠিকমতো সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের ব্যবস্থা গাড়িতে রাখবার চেষ্টা করুন। পরিশেষে, স্যানিটাইজার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, সানগ্লাস, হ্যান্ড টাওয়েল, টিস্যু পেপারস, ফেস ওয়াইপ, পকেট পারফিউম এবং ইয়ারফোনগুলি ব্যাগে নির্দিষ্ট জায়গায় গুছিয়ে রাখবার চেষ্টা করুন, এগুলো কিন্তু সর্বদাই আপনার কাজে আসবে এটা মনে রাখবেন।
গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা
মনে রাখবেন যে, একবার আপনি স্টিয়ারিং-র চাকা হাতে নিলেই আপনি কেবল আপনার সঙ্গীদের জন্যই দায়বদ্ধ নন, রাস্তায় বেরানো প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার প্রতিও বিশেষভাবে দায়বদ্ধ। সর্বদা ট্র্যাফিক নিয়মগুলি মেনে চলুন। বেশি দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাবেন না। সর্বদা আপনার সিট বেল্ট লাগিয়ে রাখুন। হাইওয়েতে কোথাও একান্ত প্রয়োজন না হলে গাড়ি থামাবেন না। গাড়িতে মদ্যপান করবেন না।
কী খাবেন এবং কী খাবেন না!
হাইওয়েতে যে ধাবাগুলো রয়েছে তাতে দেখবেন লোভনীয় বিভিন্ন খাবারও মজুত রয়েছে, তবে এক্ষেত্রে আপনি কী খাচ্ছেন তা নিশ্চিত হয়ে নিন! একইসঙ্গে যেখান থেকে খাবার খাবেন সেইখানকার খাবার সম্পর্কে ছোটখাটো একটা রিভিউ পড়তে পারেন বা কিছু গবেষণা করার প্রয়োজন হলে করে নিতে পারেন। আপনার রুটে, ইন্টারনেটে নিরাপদ অঞ্চলগুলোতেই থাকার বেশি চেষ্টা করুন, কখনও যেন যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন না হয়। দুগ্ধজাত খাবার, কাঁচা শাকসবজি এবং ফল এবং মূলত যা সঠিকভাবে রান্না করা হয় না সেগুলি থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ভাজাভুজি ও ভারি খাবার না খাওয়াটাই ভাল এক্ষেত্রে!
অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরশীলতা না হওয়াটাই কাম্য
যদিও কোনও সন্দেহ নেই যে প্রযুক্তির ব্যবহার ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে, কিন্তু কখনওই এটির উপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করাটাই উচিত। কখন আপনার ইন্টারনেটের সংযোগ ছিন্ন হতে পারে তা হয়তো আপনি বুঝতেই পারবেন না, কিছু ক্ষেত্রে, আপনাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী স্থানীয়দের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। মনে রাখবেন যে তারা আপনার প্রতি অনুগ্রহ করছে এবং তারা সরাসরি বন্ধুত্বপূর্ণও হতে পারে না — এখানেই আপনার রাস্তার স্মার্টনেসটি পরীক্ষা করা হবে। রাস্তায় কারও সাথে কখনই অভদ্র ব্যবহার করবেন না, সর্বদা আপনার মুখে হাসি দিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলুন এবং অবশেষে, তারা যে কোনও সাহায্য এবং সহায়তার প্রতি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকার চেষ্টা করুন।
প্রয়োজনীয় বিরতি
এক্ষেত্রে নিজেকে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক প্রমাণ করার চেষ্টা করুন, তাই ট্রিপের রাস্তায় কোথায় কোথায় পাবলিক টয়লেট রয়েছে সেই বিষয়েও একটা প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখা, বিভিন্ন রেস্তোঁরা, পেট্রোলপাম্প এবং অন্যান্য পাবলিক টয়লেটগুলির সন্ধান করুন। নিজেকে ফ্রেস করার জন্যে।
প্রয়োজনীয় মিউজিকের ব্যবস্থা
আপনার স্মার্টফোনে একাধিক মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপস্ ডাউনলোড করুন কারণ মিউজিক অনেক ক্ষেত্রেই আপনার রোড ট্রিপের মেজাজ বদলে দিতে পারে। স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলিতেও টিউন করে মাঝেমাঝে দেখতে পারেন, হয়তো বিনোদনের রসদ পেয়েও যেতে পারেন সেক্ষেত্রে। পেনড্রাইভে বা কমপ্যাক্ট ডিস্কে আপনার বাছাই করা কিছু মিউজিক নিয়ে যেতে পারেন এক্ষেত্রে।
প্রয়োজনীয় স্ন্যাক্স মজুত করা
যেহেতু রোড ট্রিপের মানেই তো আনন্দ করা, কাজেই আপনি ভ্রমণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্ন্যাক্স প্যাক করেছেন কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করুন। তবে অতিরিক্ত ভাজা, খুব মশলাদার, ভারি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলি এড়ানো চেষ্টা করুন। রাস্তায় যাওয়ার সময় হালকা এবং মুখোরোচক খাবারগুলো খেতে পারেন।
রাস্তার ধারে প্রয়োজনীয় সার্ভিসিং পরিষেবা
যেমনটি আমি আগেই বলেছি, আপনার প্রথম সড়ক ভ্রমণের সাফল্যের একমাত্র উপায় হ'ল সবচেয়ে খারাপের জন্যও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। গাড়ি ব্রেকডাউন হলে, কী কী করণীয় এবং কোথায় কোথায় সংশ্লিষ্ট পরিষেবাগুলি রয়েছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে ফেলুন, একইসঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টিও বিশদে আপনার সঙ্গে রাখুন। নিশ্চিত হয়ে নিন যে এই সংস্থাগুলি নির্ভরযোগ্য কিনা? কাস্টমর রেটিং চেক করুন এবং তাঁদের পরিষেবার সময় সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠুন। আপনার নিজের গাড়ি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকুন — বেসিকগুলি পড়ুন যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে কিছু খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে কী হচ্ছে।
এইভাবেই সাধারণ কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে দিয়ে, একটা অসাধারণ রোড ট্রিপের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়ে যাবে সারাজীবনের জন্য...
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যাবহার করুন
(এটি একটি অনুবাদকৃত আর্টিকেল। আসল আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন!)