কলকাতা থেকে উত্তরাখণ্ড...রোড ট্রিপেই হোক পথের সঙ্গে পথ চেনার পর্ব

Tripoto

ছবি : সংগৃহীত

Photo of Kolkata, West Bengal, India by Never ending footsteps

ব্যস্ত কলকাতা শহরের একটুকরো ছবি (সৌজন্যে : উইকিমিডিয়া কমন্স)

Photo of Kolkata, West Bengal, India by Never ending footsteps

প্রথমদিনের যাত্রা শুরু এই কলকাতা শহর থেকে। একপ্রকার লং-ড্রাইভের মধ্যে দিয়েই প্রথম দিনটিতে পবিত্র বারাণসী শহরে পৌঁছনো যেতে পারে। পরের দিন সকালে, আরও গাড়ি চালিয়ে আবার উত্তরপ্রদেশ এবং লখনউতে গিয়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করুন। আর এই পথ চলার মধ্যে মধ্যেই চলতে থাকুক পথের সঙ্গে আপনার একান্ত আলাপচারিতার পর্ব। তৃতীয় দিনে, আপনি সৌন্দর্যে মোড়া হিমালয়ের পাদদেশ এবং ভীমতালে পৌঁছে যাবেন। প্রকৃতির অকৃপণ ছোঁয়া যেন যাত্রাপথের পরতে পরতে মিশে রয়েছে। ঠান্ডা হাওয়ায় খুঁজে পাবেন আদিম প্রকৃতির অকৃপণ সৌন্দর্য। পরের দিন সকালে, গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে যান পিঠোরাগড়েতে। আর সবশেষে অর্থাৎ পঞ্চম দিনের সকালে, আপনি আপনার চূড়ান্ত গন্তব্য, মুন্সিয়ারিতে পৌঁছে যেতে পারবেন।

কলকাতা-উত্তরাখণ্ড সড়ক ভ্রমণের প্রস্তাবিত একটি রোড ট্রিপের বর্ণনা করা হল:

রোড় ট্রিপ বা সড়কপথের বিবরণী ছকটি কেমন? কলকাতা - বারাণসী - লখনউ - ভীমতাল - পিঠোরাগড় – মুন্সিয়ারি। এই অনুসারেই পাঁচদিনের রোড ট্রিপের প্রাথমিক ভাবনা।

ভ্রমণপথের নমুনা

প্রথমদিন: বারাণসী, উত্তরপ্রদেশ

পাহাড়ি উপত্যকা এবং সবুজের হাতছানি (ছবি সৌজন্যে : উইকিমিডিয়া কমন্স)

Photo of Pithoragarh, Uttarakhand, India by Never ending footsteps

পঞ্চমদিন- মুন্সিয়ারি, উত্তরাখণ্ড

বরফ ঢাকা পাহাড়ি উপত্যকা ( ছবি সৌজন্য : উইকিমিডিয়া কমন্স)

Photo of Munsyari, Uttarakhand, India by Never ending footsteps

গঙ্গাঘাটে পবিত্র মঙ্গলারতি (ছবি সৌজন্যে : উইকিমিডিয়া কমন্স)

Photo of Varanasi, Uttar Pradesh, India by Never ending footsteps
Photo of Lucknow, Uttar Pradesh, India by Never ending footsteps

ভীমতালের প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ (সৌজন্যে : উইকিমিডিয়া কমন্স)

Photo of Bhimtal, Uttarakhand, India by Never ending footsteps

বিশিষ্ট আমেরিকান লেখক Angela N. Blount তাঁর 'Once Upon an Ever After' বইটিতে বলেছিলেন “Sometimes the most scenic roads in life are the detours you didn’t mean to take।” বাস্তবিকভাবে আমাদের জীবনের সঙ্গেও এই দার্শনিক ভাবনার একধরনের সাযুজ্যতা লক্ষ করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ব্যক্তিগত, কখনও বা পেশাগত কারণে এমন কিছু পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি, যার জন্য ছিল না কোনও পূর্বপরিকল্পিত ধারনা...অনুমান। নিদেনপক্ষে ছিল না একটা ‘রুট ম্যাপ’। কিন্তু ওই অজানা পথের সন্ধানে বেরিয়েই আমরা অনেকে এমন কিছু দুর্মূল্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পেরেছি, যা ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের সারাজীবনের রসদ হয়ে রয়ে গেছে।

এক কথা সত্য যে প্রতিটা রাস্তারই থাকে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য। নিজস্বতা। এই কলকাতা শহরের বুকেও কত অলিগলির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে কত না-বলা ইতিকথা। আপনার গন্তব্য যে সবসময় নির্দিষ্ট এবং পরিকল্পিত হবে এমনটা তো বলা যায় না! কিন্তু তাতেও কোনও দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। রাজপথের প্রতিটি কোণই, প্রতিটি অলিগলিই আপনাকে আপনার অজান্তেই শোনাবে তাঁর চিরন্তন ঐতিহ্যের কথা। তাঁর ব্যক্তিগত একাকিত্বের কথা, তাঁর ভাললাগা-মন্দলাগার গল্প। এমন অনেক কথাই আপনি শুনতে পাবেন একটা দীর্ঘ পথ চলার সূত্রে। তবে এই পারস্পরিক কথোপকথনেরও রয়েছে নির্দিষ্ট অভিমুখ, রয়েছে দান-গ্রহণের পদ্ধতি... আর দর্শক ও শ্রোতার নিবিড় এক ঐকান্তিক যোগসূত্র।

ভ্রমণপিপাসু মানুষদের অনেকেই রোড ট্রিপের প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ থাকে। রোড ট্রিপের প্রসঙ্গ বললেই এসে যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা লেহ্-লাদাখ ট্রিপের কথা। কিন্তু আজ আমাদের গন্তব্য একটু আলাদা। লেখার শুরুতে ওই যে বলেছিলাম প্রতিটা রাস্তারই থাকে আলাদা কিছু ইতিকথা এবং ইতিবৃত্ত। তা শোনার তাগিদেই যেন এই পথের বিবরণ। আমাদের রাস্তার গল্পের শুরুটা কল্লোলিনী তিলোত্তমাকে ছুঁয়ে। তারপর গল্পের গতি এগিয়েছে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে, আর গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটেছে হিমালয়ের পাদদেশে। বলাবাহুল্য দেশের বেশ কয়েকটি উচ্চ শিখরে পৌঁছনোর জন্য পাঁচদিনের এ যেন এক রাজকীয় ‘রোড ট্রিপ’-এর আয়োজন। ১৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথের অভিযাত্রা আদৌ ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক! তবে মনের জোড় আর প্রকৃতিকে ছুঁয়ে দেখার প্রবল আকাঙ্ক্ষাই বোধহয় এই সংশয় নিমেষে নির্মূল করতে পারে। তাই আপনাদের জন্য রইল এমনই এক দীর্ঘ পথ চলার গল্প।

পথের নিদারুণ সৌন্দর্য ( ছবি সৌজন্যে : উইকিমিডিয়া কমন্স)

Photo of কলকাতা থেকে উত্তরাখণ্ড...রোড ট্রিপেই হোক পথের সঙ্গে পথ চেনার পর্ব by Never ending footsteps

রোড ট্রিপের বর্ণনা

সামগ্রিক রোড ট্রিপের যদি বর্ণনা করে থাকি তাহলে এই ভ্রমণপথটি সবচেয়ে দীর্ঘ এবং সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। স্টিয়ারিং-এ এতখানি সময় ধরে বসে থাকাটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এইভাবেই আপনি পৌঁছে যাবেন উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহর বারাণসীতে। কলকাতা থেকে যেহেতু আপনার যাত্রাপথের সূচনা কাজেই বিহারের প্রত্যন্ত কিছু গ্রাম এই যাত্রাপথে আপনি দেখতে পারবেন। বারাণসী শহর এবং এই শহরের ঐতিহ্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। হিন্দু-প্রাচীন এবং সনাতনী ঐতিহ্যের স্মারকচিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে এই শহরের প্রতিটি ঐতিহ্যশৈলীতে।

রাস্তায় সময়: ১৪ ঘণ্টা

দূরত্ব: ৬৭০ কিমি

ভ্রমণের অভিজ্ঞতা: বারাণসীতে গঙ্গাবক্ষে বসে থাকার মধ্যেও একধরনের আত্মিক প্রশান্তি রয়েছে। এছাড়া গঙ্গানদীতে স্থান করেও এর পবিত্রতাকে আপনি অনুভব করতে পারবেন। এই শহরের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় বিষয় হল, নদীর তীরে সন্ধ্যা আরতি পর্যবেক্ষণ করা। এই আধ্যাত্মিক প্রশান্তির স্তর কার্যত আলাদা। পার্থিব কোনও উপলব্ধির সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না। এছাড়াও রামনগর দুর্গে ইতিহাসের স্বাদ পেতে পারেন এবং প্রাচীন শহর সারনাথ ভ্রমণ করতে পারেন এর সঙ্গেই।

কোথায় থাকবেন: জোস্টেল বারাণসী (Zostel Varanasi) এবং রামদা প্লাজা জেএইচভি (Ramada Plaza JHV)-তে আপনি থাকতে পারেন। অন্যান্য থাকার জায়গাগুলোও দেখতে পারেন এক্ষেত্রে।

দ্বিতীয় দিন- লখনউ, উত্তরপ্রদেশ

উত্তর প্রদেশের রাজধানী শহর, লখনউ। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক যৌথ অবস্থান এই শহর জুড়ে বর্তমান। ঔপনিবেশিক শাসনের সময় থেকেই শহরটি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্মৃতিচিহ্ন। শাহী-মোঘল সংস্কৃতির আস্বাদ আপনি পেতে পারেন এই শহর জুড়েই। খাদ্যপ্রেমীদের জন্য লখনউ অন্যতম আশ্রয়স্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যা কিছু কিংবদন্তি স্ট্রিট ফুড তা এখানে পেতে পারেন এবং সেইসঙ্গে চেখেও দেখতে পারেন স্বচ্ছন্দে।

রাস্তায় সময়: ৭ ঘণ্টা ৩০মিনিট

দূরত্ব: ৩১০ কিমি

শীর্ষস্থানীয় অভিজ্ঞতা: লখনউয়ের চক এবং কায়সারবাগের মধ্য দিয়ে ঐতিহ্যবাহী লখনউ শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করুন। এছাড়া এখানকার অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানগুলো হল, বড় ইমামবাড়া এবং ছোট ইমামবাড়া। ভোজরসিক হলে হযরতগঞ্জের ক্যাফেগুলিতেও একবার ঢু মারতে পারেন। লখনউ চক থেকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে পারেন বেশ স্বচ্ছন্দে। আর আমিনাবাদে স্ট্রিট ফুড টেস্ট করতে ভুলবেন না যেন!

কোথায় থাকবেন: ফ্যাবহোটাল হেরিটেজ ইন চারবাগ (FabHotel Heritage Inn Charbagh) এবং ক্লার্কস অওয়াদ (Clarks Avadh)।

তৃতীয়দিন- ভীমতাল, উত্তরাখণ্ড

উত্তর প্রদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলগুলোকে পেরিয়ে এবার পৌঁছে যাবেন ভীমতালে। উপকূলবর্তী লেক শহর নামেও ভীমতাল বিশেষ জনপ্রিয়। প্রায়শই এই অঞ্চলটি সেরা অফবিট গন্তব্য স্থানগুলির মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। নৈনিতাল পর্যটন কেন্দ্র থেকে মাত্র ২২ কিমি দূরে, শান্তিপূর্ণ এবং নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ভীমতাল। আমাদের প্রতিদিনের কর্মব্যস্তময় জীবন থেকে একান্ত নিরালা অবসর খুঁজতে ভীমতালের মতো উপযুক্ত পর্যটনকেন্দ্র বোধহয় আর কিছুই হতে পারে না। কুমান পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত। ভীমতাল রাস্তাঘাটের যে গতিপ্রকৃতি তা একপ্রকার পরিবর্তিত টোপোগ্রাফির সাথে সংযোগ স্থাপনে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। তাই বহু পর্যটকই একে আদর্শ স্টপওভার হিসেবে বেছে নিয়ে থাকেন।

রাস্তায় সময়: ৮ ঘণ্টা

দূরত্ব: ৪০৫ কিমি

শীর্ষস্থানীয় অভিজ্ঞতা: ট্রেকিংয়ে অভ্যস্ত থাকলে আপনি আশপাশের এলাকা অ্যাডভেঞ্চার করে দেখতে পারেন। এছাড়া ভীমতাল হ্রদে বোড রাইডিং-ও করতে পারেন এবং হ্রদের ধারে বসে ছোটখাট একটা বিকেলের জন্য একটি পিকনিকও উপভোগ করতে পারেন।

কোথায় থাকবেন: ক্যাম্প কলসি (Camp Kalsi) এবং জিলিং টেরেস (Jiling Terraces)। এছাড়া অন্যান্য স্থানও আপনি অবশ্যই দেখবেন।

চতুর্থ দিন-পিঠোরাগড়, উত্তরাখণ্ড

ভীমতাল থেকে কুমান পাহাড় ধরে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে আপনি পিঠোরাগড়তে এসে পৌঁছে যাবেন। সমুদ্রতল থেকে এই স্থানটি প্রায় ১৫১৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। পিঠোরাগড় অঞ্চলটি ১৯৬০ সালে আলমোড়া জেলা থেকে আলাদা করা হয়েছিল। এটি উত্তরাখণ্ডের পূর্বতম জেলা। উত্তরে রয়েছে তিব্বত এবং পূর্বে অবস্থিত নেপাল হল এর অন্যতম নিকটবর্তী অঞ্চল। পিঠোরাগড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বচ্ছতা এবং নির্মলতা, এই শহরটিকে ‘ছোট কাশ্মীর’ হিসেবেও পরিচিতি দিয়েছে।

রাস্তায় সময়: ৫ ঘণ্টা

দূরত্ব: ১৬০ কিলোমিটার

শীর্ষস্থানীয় অভিজ্ঞতা: পিঠোরাগড় দুর্গের আড়ম্বরপূর্ণ দুর্গশৈলী দেখার পাশাপাশি, আপনি অর্জুনেশ্বর, কপিলেশ্বর এবং নকুলেশ্বর মন্দিরেও ভ্রমণ করতে পারবেন। হাতে সময় থাকলে পিঠোরাগড় বাজার থেকেও ছোটখোটো কেনাকাটা সেরে নিতে পারেন।

কোথায় থাকবেন: অ্যানির রিট্রিট (Ancee’s Retreat) এবং চেস্টন্ট গ্রোভ হিমালয়ান লজ (Chestnut Grove Himalayan Lodge)। এছাড়া অন্যান্য ব্যবস্থাও দেখতে পারেন।

রাস্তা ভ্রমণের চূড়ান্ত স্তর হল এটি, যা আপনাকে মুন্সিয়ারিতে অর্থাৎ চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ মিটার দূরে অবস্থিত মুন্সিয়ারি যেন ভারত, চীন এবং নেপাল সীমান্তের মধ্যে শান্তভাবে বসে আছে। জায়গাটি প্রকৃতি প্রেমীদের এবং অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী মানুষদের জন্য উপযুক্ত। পাহাড়ি শহরটি চারপাশে সবুজ হিমালয়ের পর্বতমালা দ্বারা বেষ্টিত এবং সেখানে উদ্ভিদ এবং প্রাণিকুলের আধিক্য রয়েছে। মুন্সিয়ারি থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেকিং পয়েন্টেরও সূচনা হয়ে থাকে।

রাস্তায় সময়: ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

দূরত্ব: ১২৫ কিলোমিটার

শীর্ষস্থানীয় অভিজ্ঞতা: রালাম, মিলাম এবং নমিকের হিমবাহের দিকে ট্রেক; মুন্সিয়ারির থামারি ও মহেশ্বরীর প্রাকৃতিক হ্রদগুলিও বিশেষ উপভোগ্য।

কোথায় থাকবেন: জনার্দন রিসর্ট (Janardan Resort) এবং সরমোলি হিরমা হোমস্টে (Sarmoli Hirma Homestay)। এছাড়া থাকবার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা অবশ্যই দেখতে পারেন।

রোড ট্রিপ নেওয়ার সেরা বা আদর্শ সময়

অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি এই ভ্রমণের সেরা মাস। শীতের মাসগুলি উত্তর ভারতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত। তবে, আপনার গরম জামাকাপড়গুলি প্যাক করতে ভুলবেন না। কারণ উপরের অঞ্চলে কনকনে বাতাস এবং কখনও কখনও শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যেতে পারে।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যাবহার করুন

(এটি একটি অনুবাদকৃত আর্টিকেল। আসল আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন!)