পিৎজা! এই শব্দ শুনলেই জিভে জল আসে। একজন পিৎজাপ্রেমী হিসাবে কতদূর যেতে পারেন আপনি? যতদূরই যান না কেন, গুয়াতেমালার এই ব্যক্তিকে ছাপিয়ে যেতে পারবেন না। একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া গলিত লাভার উপর পিৎজা সেঁকেছেন তিনি। ৩৪ বছরের এই পিৎজা প্রেমীর লাভার উপর পিৎজা সেঁকার ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি বিশেষ ধাতব থালায় পিৎজা সেঁকছেন। তাপমাত্রা এখানে ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! অবশ্যই তিনি লাভার তাত থেকে বাঁচতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত বিশেষ পোশাকে নিজেকে মুড়ে রেখেছেন। পিৎজার স্বাদ বাড়িয়ে দিতে তিনি তাঁর উপর টম্যাটো সস আর চিজ ছড়িয়ে দিয়েছেন।
"এটা হয়ে গিয়েছে, এবার শুধু চিজ গলে যাওয়ার পালা!" বললেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পাকায়া আগ্নেয়গিরি লাভা উদ্গার করে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সেইজন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আরেই ব্যক্তি সেই গলন্ত লাভাকেই কাজে লাগিয়ে সেটাকে নিজের রান্নাঘর বানিয়ে নিয়েছেন আর তিনি এর নাম দিয়েছেন পাকায়া পিৎজা।
অনেকেই এখন এখানে এসে এই লাভায় সেঁকা পিৎজা তারিয়ে তারিয়ে খাচ্ছে। গারসিয়া নামক এই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে ২০১৩ সালে একটা গুহায় প্রথমবার পিৎজা সেঁকেন তিনি। কিন্তু প্রথমে বিক্রি খুব একটা ভাল হয়নি।
তিনি বলেন যে, "এত উচ্চ তাপমাত্রায় পিৎজা সেঁকা একটা কঠিন ব্যাপার। এমনভাবে সেটা করতে হত যাতে পিৎজা পুড়ে না যায়। আবার উপকূলের কাছে তাপমাত্রা ছিল ১৫০০ থেকে ২০০০ ডিগ্রি। তাই আমাকে হাওয়ার গতিপথ কোনদিকে সেটাও খেয়াল রাখতে হত।"
কেন তিনি বেছে নিলেন এই ঝুঁকিবহুল কাজ?
গারসিয়া দেখেছিলেন যে গাইডরা যখন পর্যটকদের নিয়ে আগ্নেয়গিরি দেখাতে আসেন তখন তাঁরা এখানে মার্সমেলো পুড়িয়ে খান। আর সেটা দেখেই এই আইডিয়া মাথায় আসে তাঁর।
"আমি এই বুদ্ধিটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করলাম আর ভাবতে থাকলাম যে আর কী কী রান্না করা যেতে পারে। তারপর একদিন আমি পিৎজা বানালাম। আর মাত্র ১৪ মিনিটে এটা তৈরি হয়ে গেল। লাভার তাপমাত্রা আর গঠনের জন্য পিৎজার স্বাদ হল অপূর্ব। আমি নিজেকে বললাম যে এই কাজটা আমায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।"
পর্যটকরা কী বলছেন?
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গারসিয়ার এই পিৎজার কথা এখন অনেকেই জেনে গিয়েছেন। গুয়াতেমালার রাজধানী থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে পর্যটকরা এই বিশাল আগ্নেয়গিরির মাথায় কষ্ট করে ওঠেন এই পিৎজা খাওয়ার জন্য। একজন
একজন পর্যটক এই পিৎজা জয়েন্টের সন্ধান পান ফেসবুকে। তিনি বলেন যে এটা দেখেই মনে হল এই অভিজ্ঞতা একবার অর্জন করতেই হবে। আগ্নেয়গিরির লাভার উপর সেঁকা পিৎজা এক অনন্য অভিজ্ঞতা যা এর আগে গোটা বিশ্বে কেউ কখনও শোনেনি।
একজন ডাচ পর্যটক বলেন যে শুধুই লাভায় সেঁকা পিৎজা খাওয়াটাই বড় কথা নয়, এটা একমাত্র গুয়াতেমালাতেই পাওয়া যায়। সেটাও ভেবে দেখার মতো।
গ্রাসিয়া বলেন যে পর্যটকদের আনন্দ দিয়ে তাঁরও বেশ ভাল লাগে। "অনেকেই আমায় পাগল বলেন, তবে রান্নার নেশাটা একপ্রকার পাগলামি বটে!" গ্রাসিয়া আরও বলেন যে, "এটা আমায় সম্পূর্ণ করে, আত্মবিশ্বাস দেয় এবং পর্যটকদের এই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দিতে পেরে আমার ভাল লাগে। "
যদিও এটা বেশ ঝুঁকির কাজ। কারণ এপ্রিল মাসে এই আগ্নেয়গিরি ১৬৪০ ফিট ছাই তৈরি করেছে। স্থানীয়রা বেশ ভয়ে আছেন কারণ এই আগ্নেয়গিরি শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
তবে গ্রাসিয়া বলেছেন যে তিনি সব রকমের সুরক্ষা নিয়ে তবেই এই কাজ করছেন।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন।
(এটি একটি অনুবাদ করা আর্টিকেল। মূল প্রবন্ধ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।)