ছয়টি বাজেট ফ্রেন্ডলি উত্তর-পূর্ব ভারতের ট্রিপের কথা...

Tripoto
Photo of ছয়টি বাজেট ফ্রেন্ডলি উত্তর-পূর্ব ভারতের ট্রিপের কথা... 1/1 by Surjatapa Adak
ছবি সংগৃহীত

আচ্ছা বলুন তো রোড ট্রিপ বলতে প্রথমেই আপনার মাথায় কী আসে? গোয়া, লাদাখ, স্পিতি, জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা কিংবা থর তাই তো? উত্তর - পূর্ব অঞ্চলে রোড ট্রিপে কখনও গিয়েছেন? তাও আবার নিজস্ব বাইক বা গাড়ি ছাড়া? হ্যাঁ এই যাত্রাটিতে শুধুমাত্র পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সহযোগে যাত্রা করার সুযোগ রয়েছে । প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাত্রার ফলে আপনি ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি ও ঘুরে নিতে পারেন ।

মণিপুর - মায়ানমার -

ভারত থেকে মায়ানমারে সড়কপথে যাত্রার অভিজ্ঞতাটা কিন্তু অসাধারণ । তবে আপনি যদি নিজে ড্রাইভ করে যান তাহলে খরচ সংখ্যাটা দ্বিগুণ হতে পারে । তবে আপনি খুব সহজেই খরচের অংশটা কম করে নিতে পারেন । মণিপুরের মরেহ সীমান্ত অঞ্চলের শেষ শহর ।এখানে থেকে টুরিস্ট ভিসা সহযোগে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন মায়ানমার । এখানে কিন্তু ই- ভিসার ব্যবহার হয় না । ফেরার সময় ও আপনি এই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন । তবে খুব শীঘ্রই ইমফল -মন্ডলায় আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা চালু হবে ।

কীভাবে যাবেন?

বিমানে -ভারতের যে কোনও বড়ো শহর থেকে পৌঁছে যান ইমফল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ।

ট্রেনে - মণিপুর পৌঁছনোর জন্য নিকটতম বিমানবন্দরটি হল-জিরিবাম। এখানে থেকে গাড়ি ভাড়া করে ৩০০কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে পৌঁছে যান মরেহ ।

সড়কপথে - মরেহ যাওয়ার জন্য ইমফল থেকে আপনি ট্যাক্সি পেয়ে যাবেন ।

ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় : অক্টোবর থেকে জুন মাসটিই ভ্রমণের জন্য আদৰ্শ । এই সময় গড় তাপমাত্রা থাকে ১০ -৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস । তবে বর্ষাকালীন সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো ।

গুয়াহাটি - আগরতলা ট্রেন যাত্রা

আপনি কি কখনও পল থেরাক্স এর নাম শুনেছেন? ইনি হলেন আমেরিকার ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখক, যিনি শুধুমাত্র ট্রেনে চেপে বিশ্বের কোণায় কোণায় ভ্রমণ করেছেন । ভারতের ক্ষেত্রেও এমন চেপে ভারতের কোণায় কোণায় ভ্রমণ করা যায় । তাই গুয়াহাটি - আগরতলা ট্রেন যাত্রা করেও ভারতবর্ষকে নতুন করে চিনে নিতে পারেন। গুয়াহাটি - আগরতলা ট্রেনযাত্রা সম্পর্কে বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

কীভাবে পৌঁছবেন?

বিমানে - ভারতের যে কোনও বড়ো শহর থেকে পৌঁছে যান গুয়াহাটির লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলোই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ।

ট্রেনে - ভারতের প্রধান শহরগুলি থেকে রাজধানী বা শতাব্দী এক্সপ্রেস চেপেও পৌঁছে যেতে পারেন গুয়াহাটি ।

সড়কপথে - সিকিম বা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাসে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন গুয়াহাটি ।

ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় - অক্টোবর থেকে জুন মাসটিই ভ্রমণের জন্য আদৰ্শ । এই সময় গড় তাপমাত্রা থাকে ১০ -৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস । তবে বর্ষাকালীন সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো ।

কোথায় থাকবেন?

রী- সান ( দুইশয্যা সহ হোটেলের খরচ - ৭০০ টাকা ), হোটেল লীলাবতী গ্র্যান্ড ( খরচ - ১৮৭২ টাকা ) বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

আগরতলা - ঢাকা -

Photo of Dhaka, Bangladesh by Surjatapa Adak

আগরতলা থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব মাত্র ৪ কিমি । এখানে আপনি পায়ে হেঁটে কিংবা রিক্সা করে পৌঁছে যেতে পারেন । আপনি যদি বাংলাদেশ টুরিস্ট ভিসা ছাড়াও আগরতলা পৌঁছে যান তাহলে আগরতলার ভিসা অফিস থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আর বাসে বা ট্রেনে চেপে ঢাকা পৌঁছে যেতে পারেন ।

কীভাবে পৌঁছবেন?

বিমানে - ভারতের যে কোনও বড়ো শহর থেকে পৌঁছে যান আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বিমানবন্দর ।

ট্রেনে - ভারতের প্রধান শহরগুলি থেকে ট্রেনে চেপে ও পৌঁছে যেতে পারেন আগরতলা ।

সড়কপথে - বাসে চেপে আগরতলা পৌঁছানোর তেমন অবকাশ নেই । তাই ট্রেন বা বিমানেই আগরতলা পৌঁছতে পারেন ।

ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় - অক্টোবর থেকে জুন মাসটিই ভ্রমণের জন্য আদৰ্শ । এই সময় গড় তাপমাত্রা থাকে ১০ -৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস । তবে বর্ষাকালীন সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো ।

কোথায় থাকবেন?

হোটেল ষ্টার (ডবল বেডরুম এর খরচ ৬৫০ টাকা ), হোটেল জিঞ্জার ( ডবল বেডরুম এর খরচ ২৮৭৯ টাকা ) । বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

গুয়াহাটি - জিরিবাম

Photo of Gauhati, Assam, India by Surjatapa Adak

আপনার কী প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মাধ্যমে ছোট্ট গ্রাম ঘুরে আদিবাসী মানুষদের ঐতিহ্য রীতি নীতি জানতে ভালো লাগে? তাহলে গুয়াহাটি- জিরিবাম (মণিপুর ) ট্রেন ধরে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনধারাকে দর্শন করে নিতে পারেন । প্রথমে গুয়াহাটি - আগরতলা রুটের ট্রেন ধরে পৌঁছে যান বদরপুর জংশন । এখান থেকে অরুণাচল প্রদেশ গামী ট্রেনে চেপে পৌঁছে যান জিরিবাম । যাত্রাপথে আপনার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ঘন সবুজ অরণ্য, পর্বতশৃঙ্গ, ছোট ছোট গ্রাম, এবং আদিবাসী জনজীবন ।

কীভাবে যাবেন?

বিমানে - প্রথমে পৌঁছে যান ইমফল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর । এখান থেকে ইমফল থেকে পৌঁছে যেতে পারেন জিরিবাম ।

ট্রেনে - জিরিবাম পৌঁছানোর জন্য ধর্মনগর, বদরপুর থেকে অরুণাচল প্রদেশগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন ।

সড়কপথে - জিরিবাম পৌঁছানোর জন্য কোনো বাস পরিষেবা নেই ।একমাত্র ইমফল থেকে এখানে পৌঁছতে পারেন ।

ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় - অক্টোবর থেকে জুন মাসটাই জিরিবাম ভ্রমণের জন্য আদর্শ ।

গুয়াহাটি - ভৈরবী -

গুয়াহাটি থেকে ভৈরবী (মিজোরাম ) যাওয়ার জন্য বদরপুর হয়ে গুয়াহাটি - জিরিবাম রুট ধরেই পৌঁছে যেতে পারেন । যাত্রাপথে আপনি মিজো গ্রাম দেখতে পারেন এবং স্থানীয় খাদ্যগুলি চেখে নিতে পারেন । ভৈরবী এখানকার সর্বশেষ স্টেশন । তাই এখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন মিজোরামের রাজধানী আইজল ।

কীভাবে যাবেন?

বিমানে - ভারতের যে কোনও স্থান থেকে পৌঁছে যান মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বিমানবন্দর । সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান গন্তব্যে।

ট্রেন - ভারতের শহরগুলি থেকে ভৈরবী পৌঁছানোর সরাসরি ট্রেন উপলব্ধ নেই । তাই বদরপুর এবং অরুণাচল জংশন স্টেশন থেকে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে এখানে পৌঁছতে পারেন ।

সড়কপথে - ভৈরবী পৌঁছানোর জন্য কোনও বাস পরিষেবা উপলব্ধ নেই ।

ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় : অক্টোবর থেকে জুন মাস ভৈরবী ভ্রমণের জন্য শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে পরিগণিত হয় ।

আপনি কি কখনও শুধুমাত্র পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর সাহায্যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল ভ্রমণ করেছেন? তাহলে আপনার অভিজ্ঞতাটা ট্রিপোটোর সাথে ভাগ করে নিতে কিন্তু ভুলবেন না ।

ডিব্রুগড় - আলো - মেচুকা -

দূরে সবুজ পাহাড় থেকে মেচুকা নদীর উৎপত্তি লাভ করে মেচুকা গ্রামের পথ বেয়ে এঁকে বেঁকে বেয়ে চলা ইত্যাদি ছবির মতো দৃশ্যপটের সাক্ষী থাকতে পৌঁছে যান মেচুকা । একটা গাড়ি ধরে মেচুকা গ্রামে পৌঁছতেও আপনি প্রকৃতির গূঢ় উপলব্ধি করতে পারেন । আসামের ডিব্রুগড় পৌঁছে ফেরি সহযোগে ব্রহ্মপুত্র নদী পাড় করে বাস ধরে আলো পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে এখানে চলে আসতে পারেন ।

ডিব্রুগড়- কীভাবে যাবেন?

বিমানে - ভারতের যে কোনও বড়ো শহর থেকে পৌঁছে যান ডিব্রুগড়ের চাবুয়া বিমানবন্দর ।

ট্রেনে - ডিব্রুগড় শহর এবং ডিব্রুগড় নামে মোট দুইটি রেলস্টেশন আছে যা ভারতের বড়ো শহরগুলি থেকে পৌঁছে যাওয়া যায় ।

সড়কপথে - গুয়াহাটি থেকে কোহিমা - ডিব্রুগড় যাওয়ার অনেক বাস উপলব্ধ আছে ।

ভ্রমণের শ্রেষ্ঠ সময় - অক্টোবর থেকে জুন মাসটি ভ্রমণের জন্য আদর্শ । এই সময় তাপমাত্রা বেশ অনুকূল থাকে । বর্ষাকালীন সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসটি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো ।

কোথায় থাকবেন?

ভাস্কর হোমস্টে ( ডবল বেডরুমের খরচ - ১০০০ টাকা ), হোটেল নটরাজ ( ডবল বেডরুমের খরচ - ২৩০০ টাকা) বিশদে জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যাবহার করুন

(এটি একটি অনুবাদকৃত আর্টিকেল। আসল আর্টিকেল পড়তে এখানে ক্লিক করুন!)