বাঙালি মাত্রেই বইপ্রেমী, হরেক রকমের বইয়ের প্রতি তাঁর অগাধ আগ্রহ। কলকাতার কলেজ স্ট্রিটে কিংবা শীতের ওম গায়ে মেখে বাঙালির বইমেলা ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও নেহাতই মন্দ নয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিটি বাঙালির মনেই নানা ধরনের প্রশ্নের আনাগোনা, মূলত বইমেলার আসন্ন সম্ভাবনাকে নিয়ে, আদতে বইমেলা হবে কি হবে না এই নিয়েও রয়েছে নানা ধরনের সংশয় এবং প্রশ্ন।
সে যাই হোক বাঙালিকে পড়ার অভ্যেস থেকে ঠেকায়, এমন সাধ্য আর কার রয়েছে? বইমেলার বিভিন্ন রকমফেরে, লিটিল ম্যাগাজিন মেলা থেকে শুরু করে, জেলার বিভিন্ন বইমেলা... এইবার বাঙালির হাতের মুঠোয় রয়েছে অন্য আর একধরনের সুযোগ।
এইবার বই খুঁজতে আর বেছে বেছে কলেজস্ট্রিট যেতে হবে না। কিংবা বই পড়বার জন্য কোনও লাইব্রেরীরও সদস্য হতে হবে না বরং বই পড়বার পাশাপাশি আপনি অনায়াসেই গঙ্গা নদীর সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারেন।
বেশ অবাক লাগছে নিশ্চয়ই?
তাহলে জেনে নেওয়া যেতে পারে কোন বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলছি।
ভাসমান লাইব্রেরী কোথায়?
২৬শে জানুয়ারি ২০২১, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই পশ্চিবঙ্গ পরিবহণ নিগমের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়েছে। একটি লঞ্চে তৈরি করা হয়েছে ৫০০ বইয়ের সমাহারে আস্ত লাইব্রেরি। ওই লঞ্চে উঠলেই হাতের নাগালে চলে আসবে হরেক রকমের বাংলা, ইংরেজি বই। লঞ্চের এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনিও উপভোগ করতে পারবেন, বইয়ের সুন্দর সঙ্গটিকে।
আগামী ২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসে এমন অভিনব ‘বোট লাইব্রেরি’-র শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে। রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগের ‘ফসল’ এই লাইব্রেরি। এর আগেও কিন্তু ট্রামের ভিতরেও লাইব্রেরি উপহার পেয়েছেন রাজ্যবাসী। এ বার নদীবক্ষেও তেমন সুযোগ মিলতে চলেছে।
রাজ্য পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেনবীর সিংহ কপূর বলেন, “খুদে বইপ্রেমীদের জন্যে এই বিশেষ উদ্যোগ হলেও, বড়দেরও খুব ভাল লাগবে বোট লাইব্রেরিতে চড়লে। মাঝ গঙ্গায় বই পড়তে আশা করছি, সবারই ভাল লাগবে।’’
যাতায়াতের পথনির্দেশ
লাইব্রেরী সুসজ্জিত এই লঞ্চটি প্রথমে মেলিনিয়াম পার্ক থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথমে গিয়ে পৌঁছবে বেলুড় মঠে এবং সেখান থেকে আবার ফিরে আসবে মেলেনিয়াম পার্কেই, কাজেই বইপোকা বাঙালিরা বেশ আনন্দের সঙ্গেই এই রাইডটা গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যায়।
লঞ্চের ভাড়া
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য মূল্য ১০০ টাকা
ছোটদের জন্য লঞ্চের ভাড়া ৫০ টাকা