
ঘরকুনো বলে বাঙালির বদনাম আছে। অথচ গুয়াতেমালা থেকে গঙ্গাসাগর সব জায়গাতেই বাঙ্গালির অবাধ বিচরণ। এই বিশ্বে যেখানেই আপনি যান না কেন বাঙালি দেখলেই ঠিক চিনতে পারবেন। কেন? তাদের কিছু নিজস্ব ইউএসপি আছে। আপনি যদি বাঙালি হন তাহলে বেড়াবার সময় এই কাণ্ডগুলো নিশ্চয়ই কোনও না কোনও সময় করে থাকবেন।
১. গুচ্ছের লাগেজ
হ্যাঁ ফ্রম পিন টু এলিফ্যান্ট ব্যাগে পুরতে না পারলে কীসের বেড়ানো শুনি? আরে বাপু সব জিনিসই তো অন্য জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু যদি না পাওয়া যায়? রিস্ক তো নেওয়া যায় না তাই না!
২. নারকেল তেল মাস্ট

পুরীর সমুদ্রে নাইতে যাব আর মাথায় নারকেল তেল দেব না? কভি নেহি। তাই বাঙালির বেড়ানোর সময় নারকেল তেল মাস্ট। ও হ্যাঁ প্যাক করার আগে তেলের বোতল প্লাস্টিকে মুড়ে নিতে হবে।
৩. রণে বনে জঙ্গলে
ধরুন আপনি আছেন হিমাচলপ্রদেশের কোনও এক গ্রামে। সেখানে জনসংখ্যা একশোর কম বা আপনি দক্ষিণ ভারতে আছেন। মনে এমন জায়গায় আছেন যেখানে ভগবানের দেখা পাওয়া গেলেও যেতে পারে কিন্তু বাংলা কাগজ মেলা ভার। কিন্তু একটা আনন্দবাজার পড়ব না? কলকাতায় কী হচ্ছে খোঁজ নেওয়া তো কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।
৪. এট্টু আলু পোস্ত হবে?
আমি এই নিয়ে একটা কথাও বলব না! এই প্রশ্ন আপনি না করে থাকলে আজ থেকে আপনি বাঙালি নন!
৫. টিকিট গায়েব
দেখুন ওসব সোলো ট্রিপের কাঁথায় আগুন। বড় পিসি, মেজ মামা, ছোট জামাই বাবু সবাইকে নিয়ে না গেলে বেড়ানো জমে না। আর দল বাঁধলেই গোলমাল। টিকিটটা যে কার কাছে আছে সেটা যায় গুলিয়ে। আপনি হয়তো ভাবছেন ওটা রাঙাপিসির হ্যান্ড ব্যাগে আছে। পরে দেখা যায় ওটা মেসোমশাই খুব যত্ন করে নিজের কোটের পকেটে রেখে দিয়েছেন।
৬. মুঘল সরাইয়ের সিঙারা আর খড়গপুরের চা

এই দুটোর মতো এগজটিক খাদ্য ভূ-ভারতে নেই। সে ট্রেন রাত দুটোয় সেখানে থামুক বা ভোর পাঁচটায়। এই চা ইধার আও বলার মধ্যে বেশ একটা ইয়ে আছে। আর মিথ্যে বলে লাভ নেই সত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে চরম পেশাদারিত্ব দেখিয়ে ওই উদ্ভূট সময়ে একটা চাওয়ালা ঠিক উপস্থিত থাকে। সিঙারা ওয়ালার কথা আর বললুম না। সে বোধহয় বাড়ি যায় না।
মিলিয়ে দেখুন দেখি এর মধ্যে কোন কীর্তি আপনার নামে উজ্জ্বল। না মিললে আমার বাপু ঘোর সন্দেহ আছে আপনি বাঙালি নাকি উজবেকিস্তানের লোক!