ঘণ্টার গম্ভীর আওয়াজ আর সমবেত প্রার্থনার সুর, কলকাতার এই গির্জাগুলো ছাড়া বড় হয় না বড়দিন

Tripoto

বড়দিনে অর্থাৎ ২৫শে ডিসেম্বর যিশু আদৌ জন্মেছিলেন কিনা সেই নিয়ে বিতর্ক আছে ঢের। কিন্তু বাঙালির তাতে একটুও মাথাব্যথা নেই। ব্রিটিশদের রাজধানী ছিল যে শহর, সেখানে বড়দিনে একটু সাহেবি ছোঁয়া থাকবে না তা কী করে হয়? নয় নয় করে গির্জাও তো এখানে কম নেই। সেখানে গিয়ে গান গাওয়া হোক বা নাহুমস্-সালদানার কেক, বাঙালির কাছে বড়দিন প্রকৃত অর্থেই বেশ বড়। এ কোনও মহামানবের জন্মদিন নয় বরং মানবের মহামিলন। আর তাই হরি হোক বা হ্যারি, গির্জায় যাওয়ার অধিকার সবার আছে। আমরাও বা বসে থাকি কেন? ঘুরে আসা যাক কলকাতার নাম করা থেকে নাম না জানা গির্জায়।

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল

সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি গির্জা (ছবি সংগৃহীত)

Photo of St. Paul's Cathedral, Cathedral Road, Maidan, Kolkata, West Bengal, India by Doyel Banerjee

বড়দিনের প্রার্থনার কথা মাথায় এলেই সবার আগে এই গির্জার নাম আসে। ১৮৩৯-১৮৪৭-এর মধ্যে এই গির্জা তৈরি হয়। এই গির্জার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর গথিক স্টাইল স্থাপত্য। পল দ্য অ্যাপোস্টল অর্থাৎ যিনি যিশুর বাণী প্রচার করেছিলেন তাঁর উদ্দেশ্যে নির্মিত।

সেন্ট অ্যানড্রিউজ চার্চ

সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চ আরেক উল্লেখযোগ্য গির্জা (ছবি সংগৃহীত)

Photo of St. Andrew's Church, Binoy Badal Dinesh Bag North, Murgighata, Barabazar Market, Kolkata, West Bengal, India by Doyel Banerjee

হাওড়া স্টেশন থেকে ফেরার সময় এই গির্জা আপনি বহুবার দেখেছেন। ১৮১৫ সালে (মতান্তরে ১৮১৮) নির্মিত এটিও কলকাতার অন্যতম প্রাচীন একটি চার্চ। সম্প্রতি এই গির্জাকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

হোলি রোজারি ক্যাথিড্রাল

পর্তুগিজদের তৈরি এই গির্জার স্থাপত্য নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ (ছবি সংগৃহীত)

Photo of ঘণ্টার গম্ভীর আওয়াজ আর সমবেত প্রার্থনার সুর, কলকাতার এই গির্জাগুলো ছাড়া বড় হয় না বড়দিন by Doyel Banerjee

১৭৯৯ সালে নির্মিত এই গির্জা পর্তুগিজদের স্মৃতিচিহ্নও বটে। এই গির্জাকে পর্তুগিজ চার্চ বা মুরগিহাটা চার্চও বলা হয়।

ক্রাইস্ট দ্য কিং চার্চ

পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট মোড়ে এই চার্চের শোভা চমকপ্রদ (ছবি সংগৃহীত)

Photo of Church Of Christ The King, Syed Amir Ali Avenue, Park Circus, Park Street area, Kolkata, West Bengal, India by Doyel Banerjee

সইদ আমির আলি এভিনিউ বা সোজা কথায় পার্ক সার্কাস মোড়ে একদম রাস্তার উপর অবস্থিত এই চার্চ। ভিতরের সজ্জা থেকে বাইরের স্থাপত্য সব দিক থেকেই অনন্য এই চার্চ। ১৮৪৪ সালে এই চার্চ নির্মিত হয়েছিল।

সেন্ট জন চার্চ

বড়দিনে এই চার্চে ঘুরতে যেতেই পারেন (ছবি সংগৃহীত)

Photo of St. John's Church, Acharya Prafulla Chandra Road, Sealdah, Raja Bazar, Kolkata, West Bengal, India by Doyel Banerjee

কলকাতার তৃতীয় পুরনো চার্চ এটি। লালদীঘির এই গির্জা আগে একটা ক্যাথিড্রাল ছিল। কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বারা স্থাপন করা প্রথম বিল্ডিং হল এই গির্জা। এই গির্জার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এখানকার মেঝে। যা নীল আর কালো পাথর দিয়ে তৈরি। এর ভিতরে আছে লেডি ক্যানিংয়ের নামে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ।

সেন্ট থমাস চার্চ

গথিক স্টাইলে গড়া মিনার সত্যিই উল্লেখযোগ্য এক স্থাপত্য শিল্প (ছবি সংগৃহীত)

Photo of St. Thomas Church, Park Street area, Kolkata, West Bengal, India by Doyel Banerjee

জানবাজার অঞ্চলের এই গির্জা রোমান ক্যাথলিক,ল্যাটিন রাইট চার্চ। দৃষ্টি আকর্ষণ করে গির্জার গথিক স্টাইলে গড়া মিনার। গির্জার অলটার উইনডো আর সেন্ট থমাসের মর্মর মূর্তিও দেখবার মতো।

আরমেনিয়ান চার্চ

শহরের অন্যতম প্রাচীন গির্জা (ছবি সংগৃহীত)

Photo of Armenian Church, Park Street, Park Street area, Kolkata, West Bengal, India by Doyel Banerjee

এটি শহরের প্রাচীনতম চার্চ। একে "মাদার চার্চ অব দ্য ইন্ডিয়ান আরমেনিয়ানস" ও বলা হয়। গির্জার ভিতরে ফ্রেসকোর কাজ করা আছে। গির্জাটি মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি।

নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।

বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যাবহার করুন

Further Reads