সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে, সরস্বতী পুজোর দিন সকাল থেকেই স্কুলের অলিন্দ থেকে বাড়ির চৌহদ্দিতে শোনা যায় এই মন্ত্র। করোনার আবহে সবারই একটু মন খারাপ হচ্ছিল যে আদৌ এই পুজো করা সম্ভব হবে কিনা। ভাল খবর হল এটাই যে আমাদের এখানে সরকার পুজো করার অনুমতি দিয়েছেন এবং স্কুলও খুলে যাচ্ছে। বাঙালির কাছে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব আছে। এ হল বাঙালির একান্ত প্রেম দিবস। তবে সে সব নিয়ে নানা কথা আপনি শুনেছেন। সরস্বতী পুজোর আবহের সঙ্গে যদি একটু বেড়ানোর প্রসঙ্গ জুড়ে দেওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? জানেন কি আমাদের দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে বিখ্যাত কয়েকটি সরস্বতী মন্দির? তাহলে সেই সব মন্দিরেই একটু ঘুরে আসা যাক।
পুরাণ বলছে যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর মহাঋষি বেদব্যাস ও বিশ্বামিত্র এখানে পাঁচ হাজার বছর ছিলেন। সেখানেই এই মন্দির স্থাপিত হয়। স্থানীয় বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার আগে এখান থেকে প্রথম অক্ষর লিখিয়ে যান।
কর্ণাটকের চিকমাগালুরে রয়েছে এই মন্দির। যেখানে দেবী পূজিতা হন ললিতকলা ও শুদ্ধতার অধিষ্ঠাত্রী হিসেবে। অষ্টম শতাব্দীতে আদি শঙ্করাচার্য এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে দেবীর মূর্তি চন্দন কাঠের তৈরি।
মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট অঞ্চলের এই মন্দির খুব বিখ্যাত। স্থানীয়রা এই দেবীকে বলেন মাইহার দেবী। বসন্ত পঞ্চমীতে অনেক বড় উৎসব হয় এখানে।
৪) সরস্বতী মন্দির, পুষ্কর ( রাজস্থান)
অনেকেই জানেন যে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দির আছে পুষ্করে। তাই তাঁর পাশেই স্থান পেয়েছে ব্রহ্মার স্ত্রী সরস্বতীর মন্দির।
কেরালার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও জাগ্রত সরস্বতী মন্দির এটি। অত্যন্ত ধুমধাম সহ এখানে পালিত হয় নবরাত্রি। বিজয়াদশমীর দিন দেবীর সামনে বইপত্র রেখে অনেক নতুন শিক্ষার্থী তাদের প্রথম অক্ষর জ্ঞান লাভ করে।
নিজের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রিপোটোর সঙ্গে ভাগ করে নিন আর সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য পর্যটকদের অনুপ্রাণিত করুন।
বিনামূল্যে বেড়াতে যেতে চান? ক্রেডিট জমা করুন আর ট্রিপোটোর হোটেল স্টে আর ভেকেশন প্যাকেজে সেগুলো ব্যবহার করুন