৮ই জুন দিনটি বিশ্বের সর্বত্র বিশ্ব মহাসাগর দিবস বা ওয়ার্ল্ড ওসান ডে হিসেবে পালন করা হয় । এই মহাসাগর দিবস উপলক্ষে পাঠকদের উদ্দেশ্যে রইলো ছোট্ট একটি উপহার। সময় করে জীবনে একবার ভারতের এই সেরা ১০টি সমুদ্র বিচগুলি পরিদর্শন করে নিতে পারেন -
আরব সাগর -
অভাবনীয় সুন্দর এই বিচটি গোয়ার ভ্রমণকারীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় এই বিচটি যেন একটুকরো রাশিয়া । কারণ রাশিয়ার পর্যটকদের কাছে মর্জিম বিচটি বেশি পছন্দের ।সমুদ্র দর্শন ছাড়াও এই বিচের মূল আকর্ষণ হলো পরিযায়ী পাখী এবং বহু লুপ্তপ্রায় জীব যেমন সামদ্রিক কচ্ছপের ও দেখা পাওয়া যায়।
কেরালার ত্রিবাদ্রাম শহরের অদূরে কোভালাম বিচটির মধ্যে রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কোভালাম বিচটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত -লাইট হাউস বিচ, সমুদ্র বিচ এবং হাওয়াহ বিচ।
জনপ্রিয় এই আইল্যান্ডটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অসামান্য নিদর্শন ।চারিদিকে সমুদ্র পরিবেষ্ঠিত অঞ্চলের মাঝ বরাবর গড়ে উঠেছে ব্যাঙ্গারাম আইল্যান্ড। নীলাভ সমুদ্র এবং বালির সমন্বয়ে গঠিত সমুদ্রতট এই আইল্যান্ডটির স্বর্গীয় আমেজ সৃষ্টি করেছে ।
মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ অঞ্চলে অবস্থিত কাশিদ বিচের আকর্ষণ হল তীব্র ঢেউ এবং দূরের সবুজ পাহাড়শ্রেণি। এই ঢেউ এর কারণে এখানে সার্ফয়িং-এর সুবন্দোবস্ত রয়েছে।
বঙ্গোপসাগর -
বঙ্গোপসাগরের অন্যতম সুন্দর সমুদ্রসৈকতের নিদর্শন হলো ঋষিকন্ডা বিচ। পাহাড় বেষ্ঠিত শান্ত সমুদ্রের রূপ মনের মধ্যে অদ্ভুত প্রশান্তি এনে দেয় । জলোচ্ছ্বাস কম হওয়ার কারণে এখানে বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা রয়েছে ।
এই বিচটি পন্ডিচেরি শহরের চুনাম্বার অঞ্চলের নিকটে অবস্থিত । বঙ্গোপসাগরের ঢেউ, সোনালি তট, মন ভোলানো হাওয়া আপনাকে মুগ্ধ করবেই ।
চেন্নাই এর এই বিচটি বিশ্বের দীর্ঘতম বিচ হিসেবে পরিচিত । সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত প্রকৃতির ভিন্ন রূপদর্শন করার জন্য এই স্থানটি আদর্শ ।
হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মস্থান এবং জগন্নাথ দর্শনের জন্য ওড়িশার পুরী শহরটি বেশ প্রসিদ্ধ । তবে ধর্মস্থান ছাড়াও পুরীর বিশাল সমুদ্রতট ও যথেষ্ট আকর্ষণীয় ।
আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের সংযোগস্থল
ভারতের এক্কেবারে দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত কন্যাকুমারী। এই উপকূলীয় শহরটি তিনটি মহাসাগরের মিলনস্থল ।ধর্ম,ইতিহাস, এবং আধ্যাত্মিকতা সংমিশ্রনে গঠিত এই স্থানটি ভারতের একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণস্থান, তা বলাই বাহুল্য ।
পোর্টব্লেয়ার শহরের ২কিমি পূর্বে অবস্থিত রস আইল্যান্ডটি একসময় ব্রিটিশদের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল । এই আইল্যান্ডটি পরিদর্শনে গেলে মনে হয় কোনো শিল্পী যেন নিখুঁতভাবে এর সৌন্দর্যকে অঙ্কন করেছেন।